১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের চিরন্তন প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধ । বাংলাদেশের রাজধানী পুরো কমপ্লেক্সে রয়েছে কৃত্রিম জলাশয়, বাগান এবং গণকবর। ১৯৭১ এ সাভারে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের এক বড় যুদ্ধ হয়। অনেক মুক্তিযোদ্ধা সে যুদ্ধে শহীদ হন। এই চূড়ান্ত যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় ও পাকিস্তানের পরাজয় নির্ধারিত হয়। এর আগে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সাভার এলাকার গ্রাম থেকে অনেক বাঙালিকে বন্দী করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। নির্যাতনের পর তাদের হত্যা করা হয়। অসংখ্য গ্রামবাসীকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে নিচু জমিতে ফেলে রাখা হয় বা মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। যুদ্ধের পর এই এলাকায় আবিষ্কৃত হয় বধ্যভূমি ও গণকবর। এই গণকবরগুলো স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে অবস্থিত। জাতীয় স্মৃতি সৌধের মূল কাঠামোর সামনেই রয়েছে একটি জলাশয়। এখানে প্রতিফলিত হয় জাতীয় স্মৃতি সৌধের মূল কাঠামো এবং জাতীয় পতাকা। এই জলাশয়ে ফুটে আছে অসংখ্য শাপলা ফুল।বাংলাদেশের জাতীয় ফুল।সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশের জন্য কোন প্রবেশ মূল্য নেই। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।স্মৃতিসৌধটি সাত জোড়া ত্রিভুজ নিয়ে গঠিত। জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাত জোড়া দেয়াল স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ভিন্ন পর্যায় নির্দেশ করে। পর্যায়গুলো হলো :এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে বিবেচনা করেই সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে।ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধে সরাসরি যাওয়ার জন্যে রয়েছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। যা মতিঝিল-গুলিস্তান থেকে শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট, শ্যামলী, গাবতলী, সাভার হয়ে স্মৃতিসৌধে যায়। এছাড়া মতিঝিল ও গুলিস্তান থেকে হানিফ, নন্দন সুপার বাস ও গ্রীনওয়ে বাস সার্ভিস সরাসরি নবীনগর পর্যন্ত যাতায়াত করে। এছাড়া মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ছেড়ে আসা তিতাস পরিবহন মিরপুর ১০, মিরপুর ১, ট্যাকনিক্যাল, গাবতলী, সাভার হয়ে স্মৃতিসৌধে যায়।স্থপতির নাম সৈয়দ মাইনুল হোসেন। নাম সঠিক লিখবার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। রেফারেন্স চাইলে উইকিপিডিয়া দেখতে পারেন।© আদার ব্যাপারী (Adar Bepari) ২০১৬ - ২০২০, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। জাতীয় স্মৃতিসৌধঃ আমাদের সংগ্রাম ও বিজয়ের প্রতীক ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬. ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। একই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। এই … পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের একটি করে নির্দিষ্ট পতাকা আছে। তেমনি ভারতবর্ষেরও একটি নির্দিষ্ট পতাকা আছে। আমরা যারা ভারতবাসী আমাদের একান্ত কর্তব্য ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রতীক , জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কে জেনে রাখা। আপনি এই পোস্টটিতে ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রতীক , জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কিত যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন তা হলো-আপনি প্রথমে ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।চতুর্ভূজাকৃতি এই পতাকাটির উপরে গেরুয়া, মাঝে সাদা ও নীচে গাঢ় সবুজ রং রয়েছে। সাদা রঙের মাঝে একটি চক্র আছে।ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাটি ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক সভায় অনুমোদিত হয়। এর নকশাটি করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের পিঙ্গলি বেঙ্কাইয়া।পতাকাটির উপরে অবস্থিত গেরুয়া রং ত্যাগ ও ধৈর্য্যের প্রতীক। নীচের গাঢ় সবুজ রঙটি নির্ভীকতা, কর্ম শক্তি ও জীবন বোধের প্রতীক।পতাকাটির মাঝে অবস্হিত চক্রটি হল উন্নতি ও প্রগতির প্রতীক।ভারতের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্তের অনুপাত ৩:২ । পতাকাটি শুধুমাত্র খাদি কাপড়ের হবে। জাতীয় পতাকার ব্যবহার সরকারি নিয়ম-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।১৯৫০ সালের প্রতীক ও নাম ( অনুচিত ব্যবহার প্রতিরোধ ) আইন এবং ১৯৭১ সালের ‘ জাতীয় সম্মান অবমাননা প্রতিরোধ ‘ আইন অনুযায়ী জাতীয় পতাকা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে নতুন ‘ ভারতের পতাকা ‘ বিধি অনুযায়ী ১৯৫০ এবং ১৯৭১ সালের আইনের আওতায় সাধারণ মানুষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির জাতীয় পতাকা ব্যবহারের উপর বিধি – নিষেধ তুলে নেওয়া হয়।সারনাথের সিংহ চিহ্নিত অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে। আসল অশোক স্তম্ভটি সারনাথ মিউজিয়ামে রাখা আছে।১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত প্রজাতন্ত্র হিসাবে ষোষিত হওয়ার সময় সরকারিভাবে এই প্রতীকটি নেওয়া হয়। সারনাথের মূল অশোক স্তম্ভে ৪ টি সিংহ পিঠে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।নীচের আধারটিতে হাতি, ছুটন্ত ঘোড়া, ষাঁড় এবং সিংহের রিলিফ রয়েছে। তবে এই চারটি প্রাণীর রিলিফকে পৃথক করতে তাদের মাঝে পদ্মের উপর চক্র আছে।একটি গোটা বেলেপাথর খোদাই করে তৈরি ওই অশোক স্তম্ভে একেবারে শীর্ষে রয়েছে ধর্মচক্র। একেবারে নীচের মূল ফলকে দেবনাগরী হরফে লেখা রয়েছে ‘ সত্যমেব জয়তে ‘ । এটি মুণ্ডক উপনিষদ থেকে নেওয়া হয়েছে।১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জনগণমন সংগীতটি ভারতের জাতীয় সংগীত হিসাবে গৃহীত হয়।ব্রাহ্মমন্র বা স্তব থেকে এটি গৃহীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রথম ৫ টি স্তবক বাংলা ভাষায় রচনা করেন।১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে এই সংগীতটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল।সম্পূর্ণ সংগীতটি গাইবার সময় হল ৫২ সেকেন্ড। তবে ক্ষেএ বিশেষে ২০ সেকেণ্ডের মধ্যে জাতীয় সংগীতের সংক্ষিপ্ত রূপ গাওয়া হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় ‘ তত্ত্ববোধিনী ‘ পত্রিকাতে ১৯১২ সালে ‘ জনগণমন ‘ গানটি প্রথম ‘ ভারত বিধাতা ‘ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে ‘ Mornings songs of India ‘ শিরোনামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।আশা করি আপনি ভারতের জাতীয় পতাকা , জাতীয় প্রতীক , জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। Online shikkha Site is a website that provides you with authentic information about Health tips, Educational Tips, Business, General Knowledge and Important News etc.